মে 24, 2006
খোলা ম্যানহোল
প্রতিদিনের মত, কাজের শেষে,
চলেছে রাস্তায় অতি তাড়াতাড়ি।
উদ্বেগে, চিন্তায়, ভরা মুখ, ভাঙা গাল ,
যেতে হবে বাড়ি ।
ছেলেটার জ্র , মেয়েটার কাশি-
টানাপোড়েনে স্ত্রীর মুখ যেন ঝড়া ফুল বাসি।
অনিচ্ছায় – বোঝা বয়ে নিয়ে যাওয়া বলদের মতো,
কোনদিকে নেই হুশ– চারিদিকে বিপদ যে কতো।
গাড়ি ঘোড়া পার হয়ে এসে
ওঠে ফুটপাতে,
জীবন করতে হরণ
মরণ যে ফাঁদ পাতে।
খোলা ম্যানহোলে ডুবে গেল পূর্ণ শরীর,
নেই পাশে কেউ তারে আনিতে বাহির।
দম বন্ধ হয়ে আসে, তখনো মনেতে আশা–
ছেলে, মেয়ে, বন্ধু, পরিজন, স্ত্রীর ভালবাসা।
উদ্বেগে মাখানো মুখে, অভিমানে ভরা দুটি চোখ,
প্রতীক্ষায় ভাবে — এখনো আসেনা, কি দায়িত্বহীন লোক!
সব শেষ হয়ে গেছে, আসবেনা আর,
শেষ হবে না তার ব্যর্থ প্রতীক্ষার
প্রতিদিন – “চলছে চলবে, আমাদের দাবী মানতে হবে”।
মরণমুখী ম্যানহোলের ঢাকনাটাখোলাই কি রবে?
খোলা ছিল ম্যানহোল-দোষ তাতে কার?
হয়ে গেল তছনছ একটা নির্দোষ সংসার।
~ রাণী রায়।
মে 19, 2006
হতাশা
অমৃত করিব পান
অমৃতে করিব স্নান
চাই শুধু চাই
ভাবিয়া অমৃত লইনু যাহা
কখন হল বিষ
ভেবে নাহি পাই
~ রাণী রায়
অভিনয়
হাসছো তুমি, দেখছি আমি
তোমার এ হাসি কি কান্না নয়?
এমনি তর করছ ভান,
যেন সকল দুঃখ করেছ জয়।
আমার চোখকে দেবে ফাঁকি
কেমন? অত সোজা নয় —
আর কেউ না জানুক, আমি জানি
তোমার কান্না-হাসির পরিচয়।
~ রাণী রায়
মে 18, 2006
কাজলা দিঘী
কাজলা দিঘী,কাজলা দিঘী,কাজলা মেয়ে কৈ?
পথের পানে চেয়ে আমি আশায় আশায় রই
কালকে আমার ঘুম আসেনি রাতে
শয্যা আমার ভিজেছিল চাঁদের জোছ্নাতে
তোমার দিঘীর কালো জলে,সবার দেখি সুখ
আমার বেলায় আঁধার দেখি,দুখ্খে ঢাকি মুখ
নাইতে নেমে সাঁতার কাটে কত শত জনা
আমিই কেবল ভয়ে মরি সাঁতার যে নেই জানা
জ্যোত্স্না য্খন নাইতে নামে তোমার ভরা বুকে
বাতাশ তখন তোমায় দোলায়,পরম পাওয়ার সুখে
নদীর মতন নও তবুও ঢেউয়ের এতো খেলা
বসে বসে দেখি আমি, কাটে সারা বেলা।
~ রাণী রায়